আইসোটোপ কাকে বলে, আইসোটোপ কত প্রকার ও কী কী, আইসোটোপের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার নিয়ে এই আর্টিকেলে আমরা জানবো।
আইসোটোপ কাকে বলে?
যে সকল মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।
আইসোটোপের নামকরণ করা হয় গ্রিক শব্দ isos(একই) এবং topos(স্থান) থেকে।
মূলত,পরমাণুসমূহের নিউটন সংখ্যার ভিন্নতার কারণে এদের ভর সংখ্যার ভিন্নতা সৃষ্টি হয় ফলে পরমাণুতে আইসোটোপ সৃষ্টি হয়।
আইসোটোপের বৈশিষ্ট্য:
১.আইসোটোপ একই মৌলের ভিন্ন ভর বিশিষ্ট পরমাণু।
২.আইসোটোপসমূহের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউটন সংখ্যা ভিন্ন।
৩.আইসোটোপসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা একই হওয়ায় পর্যায় সারণিতে এদের অবস্থান নির্দিষ্ট।
৪.আইসোটোপসমূহের রাসায়নিক অবস্থা একই কিন্তু ভৌত অবস্থা ভিন্ন।
আইসোটোপের ব্যবহার :
১.চিকিৎসা ক্ষেত্রে :চিকিৎসা ক্ষেত্রে আইসোটোপের ব্যবহার একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।রোগ নিরাময় ও রোগ নির্ণয়ে আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
২.কৃষি ক্ষেত্রে :উদ্ভিদের নতুন জাত উদ্ভাবন ও জীবন রহস্য উদঘাটনে আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩.খাদ্য সংরক্ষণে:কৃষিজাত খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে বীজ সংরক্ষণের আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
৪.পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে :কার্বনের আইসোটোপ ব্যবহার করে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবাশ্মর তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপ করে জীবাশ্ম তথা পৃথিবীর বয়স নির্ধারণ করা যায়।