ঘরে বসে ইনকাম করার ১২টি সেরা উপায়

ঘরে বসে ইনকাম করার ১২টি সেরা উপায় সমন্ধে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি।

ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় এখন খুবই জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার সুযোগ বাড়ার ফলে মানুষকে আর অফিসে যেতে হচ্ছে না বা নির্দিষ্ট স্থানে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে না।

ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা হলো, আপনি নিজের সময় মতো কাজ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে এমন কতগুলো কাজ করতে পারবেন যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায়

আপনার যদি একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি কাজগুলো আরও সহজে করতে পারবেন।

আপনার অবসর সময়ে আপনি এই কাজগুলো করেতে পারবেন। সেই সাথে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন যাতে আপনি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।

আজকে আমি যে কাজগুলো নিয়ে আলোচনা করবো সেগুলো করার জন্য আপনার কোনো বিশেষ দক্ষতা বা জ্ঞান না থাকলেও আপনি করতে পারবেন।

চলুন তাহলে কথা না বারিয়ে জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে ইনকাম করার ১২টি সেরা উপায়।

  1. ইউটিউব থেকে আয় 
  2. ফেসবুক পেজ থেকে আয় 
  3. ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
  4. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
  5. ছবি বিক্রি করে আয়
  6. অনলাইন টিউশন করে আয়
  7. ব্লগিং করে আয়
  8. ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়

1.ইউটিউব থেকে আয় :

ইউটিউব থেকে আয়ের বিষয়টি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ইউটিউব কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে যদি আপনি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। তারপর আপনাকে সেই ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও আপলোড করতে হবে।

আপনার নিজের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু উপর ভিডিও তৈরি করুন।কারণ আপনি যদি উচ্চমানের ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই আপনার ভিডিও দ্বারা দর্শকদের আকর্ষীত করতে পারবেন।

নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করুন নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করা দর্শকদের চ্যানেলের সঙ্গে জুড়ে রাখতে সহায়তা করে।

ইউটিউবে আয়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো গুগল অ্যাডসেন্স। চ্যানেলের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

এখানে নির্দিষ্ট শর্তগুলো হলো আপনি যখন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন এবং আপনার চ্যানেল ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম অর্জন করবেন, তখন আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন।

গুগল আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে, এবং সেই বিজ্ঞাপনগুলো থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন থেকে কত আয় হবে তা নির্ভর করে বিজ্ঞাপন ক্লিকের সংখ্যা ও ভিডিওতে দর্শকদের আকর্ষণের ওপর।

2.ফেসবুক পেজ থেকে আয় :

অনলাইনে থেকে ইনকাম করার উপায়গুলো মধ্যে ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম হচ্ছে একটি সহজ উপায়।

ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করার দুইটি উপায় রয়েছে। যেমন, Facebook Instead Article এবং Facebook In Stream ads.

ফেসবুক ইন্সটান্ট আর্টিকেল থেকে আয়

ফেসবুক ইন্সটান্ট আর্টিকেল থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলোকে ফেসবুক পেজে শেয়ার দিতে হবে।

এরপর যখন আপনার ফেসবুক পেজে Facebook Instant Article এর জন্য আবেদন করবেন, তখন যদি আপনার পেজ ফেসবুক কর্তৃক অনুমোদন হয়ে যায় তাহলে আপনার ফেসবুক পেজে আপনার ব্লগের যে আর্টিকেলগুলো আপনি শেয়ার করেছেন সেই আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য যদি কেউ তার উপর ক্লিক করে,

তাহলে তাকে আর্টিকেলের ভিতর ফেসবুকের তরফ থেকে কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হবে যার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Facebook In Stream ads থেকে আয়

ফেসবুক ইন স্ট্রিম অ্যাডস বিষয়টি হচ্ছে এমন যে,আপনাকে ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

এরপর আপনাকে আপনার পেজে ফেসবুক ইন স্ট্রিম এডস এর জন্য আবেদন করতে হবে, এরপর যখন আপনার পেজ ফেসবুকের দ্বারা এপ্রুভ করানো হবে তাহলে আপনার ভিডিওতে ফেসবুকের মত কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হবে যেমনটা আপনারা ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখার সময় কতগুলো বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন৷

সেই বিজ্ঞাপনগুলোর বিনিময়ে আপনাকে কিছু টাকা দেওয়া হবে৷ যত পরিমাণে বেশি ফ্যান ফলোয়ার আপনার ফেসবুক পেজে থাকবে তত পরিমাণে আপনার ইনকাম বেশি হবে।

3.ফ্রিল্যান্সিং করে আয় :

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে ব্যক্তি বা পেশাজীবীরা কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে স্থায়ী চাকরির পরিবর্তে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট বা কোম্পানির জন্য চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন।

ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে কাজ করেন এবং বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য চুক্তিভিত্তিক মজুরি পান। এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করার কারণে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফ্রিল্যান্সিং-এর বিভিন্ন জনপ্রিয় ক্ষেত্র রয়েছে যেমন:

1.ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি এবং এর ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কাজ, যেমন HTML, CSS, JavaScript, এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি।

2.গ্রাফিক ডিজাইন: লোগো, ব্যানার, পোস্টার, ফ্লায়ার, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স ডিজাইন করা।

3.কন্টেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং: ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ওয়েবসাইট কনটেন্ট, এবং মার্কেটিং কপিরাইটিং করা।

4.ডিজিটাল মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ।

5.ভিডিও এডিটিং এবং অ্যানিমেশন: ভিডিও এডিটিং, মোশন গ্রাফিক্স, এবং অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করা।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি নিশ নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কোন ক্ষেত্রটিতে কাজ করতে চান তা নির্ধারণ করুন।

এটি হতে পারে ডিজাইন, লেখালেখি, ডেভেলপমেন্ট, বা অন্য যেকোনো দক্ষতার উপর ভিত্তি করে।

আপনার নিজস্ব স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনাকে নির্ধারিত ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কোর্স করতে হবে এবং নতুন নতুন স্কিল শিখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ভালো কাজ পাওয়ার জন্য দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পর ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যোগদান করতে হবে।

ফ্রিল্যান্স কাজ পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে, যেমন:

এইসব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করুন। এতে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের নমুনা থাকতে হবে যা আপনার ক্লায়েন্টদেরকে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং মানের প্রমাণ দেবে।

ফ্রিল্যান্সিং-এর সুবিধা হলো আপনি নিজেই আপনার কাজের সময় এবং প্রকল্প নির্বাচন করতে পারবেন। বিশ্বে যেকোনো স্থান থেকে ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারবেন। আপনি যত বেশি কাজ করবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

প্রথম প্রথম কাজ পাওয়া কঠিন হতে পারে, বিশেষত ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রথম পর্যায়ে ভালো কাজ পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কখনো প্রচুর কাজ থাকে, আবার কখনো কোনো কাজ নাও থাকতে পারে।

কাজ, ক্লায়েন্ট, এবং সময় সবকিছু নিজে ম্যানেজ করতে হয়।ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি ক্যারিয়ার যা আপনাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়। তবে,

4.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় :

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার করেন এবং যখন কেউ আপনার শেয়ার করা লিঙ্কের মাধ্যমে সেই পণ্যটি কিনে বা সেবাটি গ্রহণ করে, তখন আপনি একটি কমিশন পান।

এটি ঘরে বসে আয় করার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি এবং অনেক ফ্রিল্যান্সার এবং ব্লগার এটি ব্যবহার করে উপার্জন করেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য একটি বিশেষ ট্র্যাকিং লিঙ্ক প্রদান করবেন। এই লিঙ্কের মাধ্যমে আপনি সেই পণ্যটি প্রচার করবেন।

আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, বা অন্য যেকোনো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। প্রচারের মাধ্যমে যদি কেউ সেই লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্যটি কেনে,তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।

একজন ক্রেতা আপনার শেয়ার করা লিঙ্ক ব্যবহার করে পণ্যটি কিনলে, সেই বিক্রির একটি নির্দিষ্ট অংশ (কমিশন) আপনি পাবেন। কমিশনের পরিমাণ বিভিন্ন প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে –

প্রথমে আপনাকে একটি বিশেষ ক্ষেত্র বা নিশ নির্ধারণ করতে হবে, যেখানে আপনি কাজ করবেন। এটি হতে পারে প্রযুক্তি, ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, বা যেকোনো বিষয় যা আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত।

বিভিন্ন কোম্পানি বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থাকে। কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো:

আপনার নিশ অনুযায়ী ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, রিভিউ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। আপনার কন্টেন্ট অবশ্যই পাঠকদের জন্য মূল্যবান এবং নির্ভরযোগ্য হতে হবে, যাতে তারা সেই পণ্য কিনতে উৎসাহিত হয়।

আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করুন এবং অডিয়েন্স তৈরি করুন। আপনার ফলোয়াররা যদি আপনার কন্টেন্ট পছন্দ করে এবং আপনাকে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা আপনার শেয়ার করা পণ্য কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলোতে আপনাকে একটি ড্যাশবোর্ড দেওয়া হবে, যেখানে আপনি আপনার লিঙ্কের ক্লিক, বিক্রি এবং কমিশন ট্র্যাক করতে পারবেন। ট্র্যাফিক এবং কনভার্সন মনিটর করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কন্টেন্ট বেশি কার্যকরী হচ্ছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে আপনার বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। আপনি একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কাজ শুরু করতে পারেন।

একবার আপনি কন্টেন্ট তৈরি করে লিঙ্ক শেয়ার করলে, সেটি দীর্ঘমেয়াদে আয় এনে দিতে পারে, কারণ লোকেরা আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য কেনা অব্যাহত রাখতে পারে।

কোনো পণ্য মজুদ করার প্রয়োজন নেই আপনাকে পণ্য কিনে মজুদ বা ডেলিভারির চিন্তা করতে হবে না। শুধুমাত্র লিঙ্ক শেয়ার করলেই হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। সফল হতে হলে আপনাকে কন্টেন্টের গুণগত মানে ফোকাস করতে হবে এবং কৌশলগতভাবে কাজ করতে হবে।

কিছু প্রোগ্রামে কমিশন হার অনেক কম হয়, বিশেষ করে যখন এটি ছোটখাটো পণ্য হয়।

আপনার ফলোয়ারদেরকে বিশ্বাসযোগ্য কন্টেন্ট দিতে হবে, কারণ তারা যদি মনে করে যে আপনি শুধুমাত্র কমিশনের জন্য পণ্য প্রচার করছেন, তাহলে তারা সেই পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে না।

পণ্যের রিভিউ লিখে আপনার অডিয়েন্সকে সহায়তা করুন। বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রিভিউ দিলে আপনার অডিয়েন্স আপনার কথায় বিশ্বাস রাখবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করার দারুণ সুযোগ, তবে সফল হতে হলে ধৈর্য, গবেষণা, এবং কৌশলগত কন্টেন্ট তৈরি করা প্রয়োজন।

5.ছবি বিক্রি করে আয় :

আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন বা ছবি তোলা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে আপনি সহজে অনলাইলে আপনার তোলা ছবিগুলো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে আপনার তোলা ছবিগুলো হতে হবে উচ্চ মানের। ছবিগুলো হতে হবে ইউনিক, আকর্ষণীয়।

ছবি হতে পারে বিভিন্ন ধরণের—প্রকৃতি, পোর্ট্রেট, ইলাস্ট্রেশন কনসেপ্ট আর্ট।

অনেক ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে ছবি বিক্রি করা যায়। কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হলো:

ছবি আপলোড করার সময়, সঠিক টাইটেল এবং কিওয়ার্ড ট্যাগ যোগ করা জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতারা আপনার ছবি খুঁজে পাবে।

বিপণন এবং প্রমোশনের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার কাজের প্রচার করতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এবং পিন্টারেস্ট এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছবি শেয়ার করে জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারেন।

আপনার ছবি বিক্রির সময় সঠিক লাইসেন্সিং সিস্টেম সম্পর্কে নিশ্চিত থাকুন, যেমন বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্সের মূল্য আলাদা হতে পারে।

প্রতিটি মার্কেটপ্লেসের পেমেন্ট পলিসি ভিন্ন। পেপাল, ব্যাংক ট্রান্সফার বা অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে আয় সংগ্রহ করতে পারবেন।এভাবেই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় শুরু করতে পারেন।

6.অনলাইন টিউশন করে আয় :

ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে অনলাইন টিউশন একটি অন্যতম উপায়। আপনার যদি কোনো একটি বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয়ে টিউশনি করে আয় করতে পারবেন।

আপনি চাইলে একাডেমিক বিষয় যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি, বা কোডিং, বা অন্য কোনো স্কিল যেমন সংগীত, আঁকা, বা ভাষা শেখানো ইত্যাদি বিষয়েও টিউশনি করতে পারেন।

অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি অনলাইন টিউটর হতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় অনলাইন টিউশন প্ল্যাটফর্ম:

আপনি যদি নিজেই টিউশন শুরু করতে চান, তাহলে আপনার নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে। এজন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজ তৈরি করে প্রমোশন করতে পারেন।

আপনার ক্লাস নেওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দরকার হবে যেমন: একটি ভালো মানের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ।দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ।একটি ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন।ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Zoom, Google Meet,Microsoft Teams.

আপনার টিউশন ক্লাসের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সিলেবাস এবং পরিকল্পনা তৈরি করুন। প্রতিটি ক্লাসে কী শেখাবেন তার জন্য পঠন পরিকল্পনা (lesson plan) এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষণ উপকরণ তৈরি করে রাখুন।

আপনার ক্লাসের প্রচারণা চালাতে সামাজিক মাধ্যম এবং ফ্রিল্যান্স সাইটগুলোতে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন। যেমন Fiverr, Upwork, এবং Freelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মেও আপনি আপনার টিউশন সার্ভিস অফার করতে পারেন।

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মূল্যায়ন করা এবং তাদের ফিডব্যাক নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি আপনার টিউশন সেবাকে আরও উন্নত করতে পারবেন।

আপনি শিক্ষার্থীদের থেকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য PayPal, বিকাশ, রকেট, বা অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন।

7.ব্লগিং করে আয় :

ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ব্লগিং করে আয়।ব্লগিং করে আপনি খুব সহজে দৈনিক ১০০০টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে আপনাকে কোন রকম ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করতে হবে না।

ব্লগিং করার জন্য আপনাকে যেকোনো একটি নিশ বা টপিক(topic) নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আপনি content লিখতে পারেন যেমন :খেলাধূলা, রান্নার রেছিপি,marketing, lifestyle, technology ইত্যাদি বিষয়ে।

এগুলো ছাড়াও আপনি চাইলে আপনার পছন্দের টপিক নিয়ে লিখতে পারেন।

আপনার কন্টেন্টগুলো প্রকাশ করার জন্য আপনাকে বিশ্বত্ব কতগুলো প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। যেমন :গুগল

আপনার কন্টেন্টগুলো high quality হলে সেগুলোতে গুগল থেকে visitor আসতে শুরু করবে।তখন আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গুগল আপনার adsense request approved করলে আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে।এই বিজ্ঞাপনে মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

8.ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় :

ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনার যদি ওয়েবসাইট তৈরি করার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বা টিউটোরিয়াল দেখে নিজের হয়ে যেতে পারবেন প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডিজাইনার।

ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেইম,হোস্টিং, থিম ইত্যাদি আপনি আপনার ইচ্ছে মতো সাজাতে পারেন।

এরপর আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করতে পারবেন। আপনার content গুলো ভালো মানের হলে আপনার ওয়েবসাইটে visitor আসতে শুরু করবে।

ওয়েবসাইটে visitor আসতে শুরু করলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গুগল আপনার অ্যাডসেন্স এপ্রুভ করলে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে। ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে দেখানো বিজ্ঞাপনে click করলে আপনি সেখান থাকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ঘরে বসে ইনকাম করার FAQ:

Q. অনলাইনে ঘরে বসে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?

ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ এবং নিশ্চিত উপায় হলো Blogging এবং YouTube Channel. এই দুইটি মাধ্যমে আপনারা বাড়িতে বসে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা কাজ করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

Q.মেয়েদের কিভাবে ঘরে বসে আয় করার উপায়?

মহিলা বা মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার কয়েকটি সেরা উপায় হলো কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, ইউটিউব, ফেসবুক থেকে আয়, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে মেয়েরা বাড়ির বাইরে না গিয়েও মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

Q.মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন: Blogging, Content Writing, Affiliate Marketing, YouTube Channel ইত্যাদি। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে এই কাজগুলো করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

আমার শেষ কথা

আশা করি, ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

এগুলো উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি যদি আপনি ভালোভাবে শিখেন তাহলে অবশ্যই আপনার অনলাইনে টাকা আয় করার নিশ্চয়তা থাকবে।

তাহলে বন্ধুরা, যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আর আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Comment